ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষে দেশটির নিরাপত্তার জন্য সেখানে সেনা মোতায়েনে ২৬টি দেশ সম্মত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্যারিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পশ্চিমা নেতাদের বৈঠকের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ শেষে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগ্রহ প্রকাশ করা দেশগুলোকে 'কোয়ালিশন অব উইলিং' বলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই জোটের ৩৫ জন নেতা জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ইউরোপের প্রভাবশালী দেশগুলোর পাশাপাশি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
ম্যাক্রোঁ সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৬টি দেশ ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা হিসেবে সেখানে সেনা মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তিনি দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেননি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এই দেশগুলো ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, জার্মানি ও অন্যান্য দেশ ইউক্রেনের নিরাপত্তার উদ্যোগে যুক্ত থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেও বার্লিন জানিয়েছে, তারা সেনা মোতায়েনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে যখন এর শর্তগুলো স্পষ্ট হবে। এই শর্তগুলোর মধ্যে একটি হলো ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা কতটুকু থাকবে।
রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেন। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার মতে, ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি রাশিয়ার তেল না কেনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তেল বিক্রির মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার তহবিল সংগ্রহ করছে।
হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদেরকে চীনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের জন্যও আহ্বান জানান, কারণ চীন রাশিয়ার যুদ্ধে অর্থ সরবরাহ করছে।
ম্যাক্রোঁ তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'কোয়ালিশন অব উইলিং' এবং যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস খাত এবং চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করবে।