ফ্রান্সের নতুন সরকারের প্রথম দিনেই 'ব্লোকঁ তু' (সবকিছু বন্ধ) আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন শহর।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ, ব্যারিকেড এবং অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভকারী তরুণদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ায় সাধারণ মানুষকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের না হতে সতর্ক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়াঁ লেকর্নু দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই এমন বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
রাজধানী প্যারিস ছাড়াও রেন, নঁতে, মঁপেলিয়ে এবং মার্শেই শহরে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ও অগ্নিসংযোগ করেছে। রেনে একটি বাসে আগুন লাগানো হয়েছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেললাইনে বৈদ্যুতিক লাইনের ক্ষতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বিক্ষোভকারীরা মূলত প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ব্যয় সংকোচন নীতি এবং সামাজিক সেবার বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো এই আন্দোলনকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্রোহের পরিবেশ তৈরি করার’ প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে ৮০ হাজার পুলিশ ও নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই আন্দোলনকে তরুণ সমাজের মধ্যে থাকা সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন। এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামাজিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবন, যাতায়াত এবং সরকারি সেবায় প্রভাব ফেলছে।