নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি বলেছেন, তিনি এবং তার সরকার ক্ষমতার লোভে আসেননি এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি নতুন নির্বাচিত সংসদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। দেশের সাম্প্রতিক সহিংস বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর নিয়েও তিনি কথা বলেছেন।
গত রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে ৭৩ বছর বয়সী এই নেতা জানান, "আমি এবং আমার দল এখানে ক্ষমতা উপভোগ করতে আসিনি। আমরা ছয় মাসের বেশি থাকব না। আমরা নতুন সংসদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করব। আপনাদের সমর্থন ছাড়া আমরা সফল হতে পারব না।"
কার্কি জেন-জি বিক্ষোভের প্রশংসা করে নিহতদের "শহীদ" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ১০ লাখ নেপালি রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার খরচ এবং আর্থিক সহায়তাও সরকার বহন করবে।
'দ্য হিমালয়ান টাইমস' অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ জন বিক্ষোভকারী, ১০ জন কারাবন্দি এবং তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা।
সুশীলা কার্কি বলেন, "মাত্র ২৭ ঘণ্টার বিক্ষোভে এমন পরিবর্তন আমি আগে কখনও দেখিনি। আমাদের দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে কাজ করতে হবে।"
তবে তিনি বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছেন। কাঠমান্ডু পোস্টের একটি প্রতিবেদনে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, "বিক্ষোভের নামে যা ঘটেছে, তা দেখে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিতভাবে কার্যকর করা হয়েছে, যা ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন তৈরি করছে।" তিনি জানান, সরকার এই ঘটনাগুলোর তদন্ত করবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেবে।