নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। জেন-জি’র তীব্র আন্দোলনের মুখে এবং কমপক্ষে ২৫ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ওলি কাঠমান্ডুতে একটি হেলিকপ্টারে উঠেছেন, তবে তার গন্তব্য এখনও স্পষ্ট নয়।
অনলাইন সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর প্রকাশ করলেও, কাঠমান্ডু পোস্ট ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছে। তারা জানাচ্ছে, পার্লামেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সামরিক ব্যারাকে রয়েছেন, যেখানে কেপি শর্মা ওলি তার মন্ত্রীদের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন বলে জানা যায়।
ওলির পদত্যাগের পর ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়েও জল্পনা চলছে। কিছু সূত্র বলছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারে, তবে এই দাবির পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এর আগে কয়েকজন মন্ত্রী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পদত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের বাসভবনসহ মন্ত্রী ও সাংসদদের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। পার্লামেন্ট ভবনসহ বিভিন্ন স্থানেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে ওলির পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে পড়েছিল।
পদত্যাগের পর ওলির বর্তমান অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তার নিজের বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নিজ দলের নেতারাও তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দেশের অভ্যন্তরে তার অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ। কেউ কেউ ধারণা করছেন তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। তবে তিনি কোথায় আশ্রয় নেবেন, তা এখনও অনিশ্চিত।