ব্রিটিশ রক ব্যান্ড সুপারট্রাম্পের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রিক ডেভিস ৮১ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে রক্তের ক্যান্সার, মাল্টিপল মায়েলোমার সঙ্গে লড়াই করার পর গত শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়।
সুপারট্রাম্প তাদের অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানায়, রজার হজসনের সঙ্গে যৌথভাবে রিক ডেভিস ছিলেন ব্যান্ডের প্রাণ। তার কণ্ঠ এবং ওরলিৎসারের সুর সুপারট্রাম্পের সঙ্গীতের স্বতন্ত্র পরিচয় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি ব্যান্ডের একাধিক আইকনিক গানের স্রষ্টা, এবং রক সঙ্গীতের ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ব্যান্ডের সঙ্গে ট্যুর করতে না পারলেও, তিনি নিজ শহরে 'রিকি অ্যান্ড দ্য রকেটস' নামের একটি স্থানীয় ব্যান্ডের সাথে গান পরিবেশনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সুপারট্রাম্পের জনপ্রিয় গানগুলো আজও ভক্তদের মাঝে সমানভাবে সমাদৃত।
রিক ডেভিস এবং রজার হজসনের পরিচয় হয় একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, যেখানে ব্যান্ড সদস্য খোঁজা হচ্ছিল। তারা প্রথমে 'ড্যাডি' নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন, যা পরে ১৯৭০ সালে সুপারট্রাম্প নামে পরিচিতি লাভ করে।
১৯৭৪ সালে প্রকাশিত তাদের তৃতীয় অ্যালবাম 'ক্রাইম অফ দ্য সেঞ্চুরি' ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত 'ব্রেকফাস্ট ইন আমেরিকা' অ্যালবামটি তাদের বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এনে দেয়। এই অ্যালবামে ছিল 'দ্য লজিক্যাল সং', 'ব্রেকফাস্ট ইন আমেরিকা' এবং 'গুডবাই স্ট্রেঞ্জার'-এর মতো একাধিক হিট গান। অ্যালবামটি বিশ্বব্যাপী ৩০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।
১৯৮৩ সালে হজসন ব্যান্ড ত্যাগ করার পর ডেভিস আরও চারটি অ্যালবামে কাজ করেন। ২০০২ সালে প্রকাশিত 'স্লো মোশন' ছিল সুপারট্রাম্পের সাথে তার শেষ কাজ। ২০১৫ সালে একটি পুনর্মিলন ট্যুরের আয়োজন করা হলেও ক্যান্সারের কারণে তা বাতিল করতে হয়।
মৃত্যুর পূর্বে রিক ডেভিস ও রজার হজসন সুপারট্রাম্পের রয়্যালটি নিয়ে ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে একটি আইনি লড়াইয়ে জড়িত ছিলেন। তিনি তার স্ত্রী সু-কে রেখে গেছেন, যাকে তিনি ১৯৭৭ সালে বিয়ে করেছিলেন।