চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় র্যাব-১০ এর পৃথক অভিযান
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০ কেরাণীগঞ্জ, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি, মাদক ও গ্রেনেড উদ্ধার করেছে। অভিযানে একাধিক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
কেরাণীগঞ্জ অভিযান:
৩ সেপ্টেম্বর ভোররাতে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন নেকরোজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সাহিদ (৪৬) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি মুরগির খামার থেকে দুইটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি, ১৭৫ পিস ইয়াবা, ৯৫ গ্রাম গাঁজা, একটি চাইনিজ কুড়াল, নোজ প্লাস, সুইচ গিয়ার চাকু ও চারটি মোবাইল উদ্ধার করে র্যাব।
চাঁদপুর অভিযান:
২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার মাঝিগাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাটিচাপা অবস্থায় একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগজিন ও আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব-১০। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের গায়ে "BP-17" লেখা থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো পুলিশে লুট হওয়া অস্ত্র।
নারায়ণগঞ্জ অভিযান:
১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার নিচিন্তাপুর শরিফবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাধন সরকার ওরফে সাইফুল ইসলাম (৩০) কে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তার দেখানো মতে একটি সিমেন্টের দোকান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
যাত্রাবাড়ী অভিযান:
৩১ আগস্ট বিকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার বিবিরবাগিচা এলাকায় ফ্যান্টাসি টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে চারটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। এসময় ফয়সাল খান (৩০) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১ সেপ্টেম্বর ডেমরা থানার একটি এলাকা থেকে আরও চারটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।
বড় মাদক উদ্ধার অভিযান:
৩১ আগস্ট ভোরে কেরাণীগঞ্জের গদাবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৩৩ লাখ টাকা। এ ঘটনায় মো. ইউনুস (৩৩) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১০ জানায়, এই ধারাবাহিক অভিযান তাদের নিরবচ্ছিন্ন গোয়েন্দা তৎপরতা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া ও পেশাদারিত্বের একটি উদাহরণ। একইসঙ্গে অবৈধ অস্ত্রের উৎস চিহ্নিত ও ব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।