নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলমান সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
উভয় নেতা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচ্যসূচিতে ছিল ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া, রাজস্ব ও ব্যাংকিং খাতে সংস্কার, চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়ন, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংযোগ এবং এশিয়াজুড়ে তরুণদের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। এছাড়া, বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল অঙ্কের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার নিয়েও তারা আলোচনা করেন।
বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা গত ১৪ মাসে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন যে, তিনি একটি সংকটময় সময় দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বব্যাংকের অবিচল সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বর্তমান সময়কে দেশের ইতিহাসের অন্যতম সংকটময় সময় হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চান এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করে একসঙ্গে এর উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নের সরাসরি সুফল পাবে নেপাল ও ভুটানসহ ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য, যা লাখ লাখ নতুন উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।
ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতে দৃঢ় সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে অজয় বাঙ্গা বলেন, টেকসই এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধি-নির্ভর অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে তুলতে এই সংস্কারগুলো অত্যাবশ্যক।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. ফৌজুল কবির খান, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ।