দখলদার ইসরায়েলের সাবেক সেনাপ্রধান হেরজি হালেভি সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মানুষই ইসরায়েলি হামলায় আহত বা নিহত হয়েছেন। এই তথ্য গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হতাহতের সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় তা আন্তর্জাতিক মহলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন হালেভি চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে মার্চ মাসে তিনি পদত্যাগ করেন। অবসর গ্রহণের পর গত সপ্তাহে দক্ষিণ ইসরায়েলে অনুষ্ঠিত এক কমিউনিটি মিটিংয়ে তিনি বলেন, গাজার ২২ লাখ মানুষের মধ্যে ২ লাখেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন, যা মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ।
দ্য গার্ডিয়ান সংবাদমাধ্যম শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, হালেভির এই বক্তব্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কারণ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করে, তার সঙ্গে এই তথ্যের মিল রয়েছে। যদিও ইসরায়েল বরাবরই গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ‘হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়’ বলে অভিহিত করে তাদের দেওয়া হতাহতের সংখ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যকে নির্ভরযোগ্য বলে নিশ্চিত করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৪,৭১৮ জন নিহত এবং ১,৬৩,৮৫৯ জন আহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়ে থাকায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। সর্বশেষ শুক্রবারও ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতদের মধ্যে বেসামরিক ও যোদ্ধাদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করে তথ্য সরবরাহ করে না। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিহতদের ৮০ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক।