ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া একটি নৌবহরকে প্রবেশ করতে দেবে না বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। তেল আবিবের অভিযোগ, এই বহরটি হামাস নিয়ন্ত্রিত এবং এর মূল উদ্দেশ্য হলো সংগঠনটিকে সহায়তা করা।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যদি এই বহরের যাত্রীদের প্রকৃত উদ্দেশ্য মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়, তবে তাদের জাহাজগুলোকে আশকেলন বন্দরে ভিড়তে হবে। সেখান থেকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত গাজায় ত্রাণ পাঠানো হবে।
অন্যদিকে, 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা' নামক আয়োজক সংস্থার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই বহরে সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী, চিকিৎসক, শিল্পী, ধর্মীয় নেতা, আইনজীবী এবং নাবিকেরা রয়েছেন। আয়োজকরা দাবি করছেন, তাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ইসরায়েলের আরোপিত অবৈধ অবরোধ ভেঙে দেওয়া। বর্তমানে ৫১টি নৌযান গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
গত মাসে জাতিসংঘের একটি সংস্থা গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরুর কথা জানিয়েছিল। এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান ইসরায়েলের ‘পদ্ধতিগত বাধা’কে সরাসরি দায়ী করেছেন। তবে ইসরায়েল এই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা’ বলে তা অস্বীকার করেছে।
এর আগে চলতি বছরের জুনে গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া একটি জাহাজ ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছিল। সেই জাহাজে থাকা ১২ জন কর্মীর মধ্যে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন। তখন তাদের আটক করা হয়েছিল।