ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা করতে কাতারের রাজধানী দোহায় আরব ও ইসলামী দেশগুলোর এক জরুরি সম্মেলন শুরু হয়েছে। হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের নজিরবিহীন বিমান হামলার প্রেক্ষাপটে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কাতার সরকারের আমন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এতে অংশ নিচ্ছেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ইসরায়েলের প্রতি 'দ্বৈত নীতি' পরিত্যাগ করে তাদের 'অপরাধের' জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। তিনি বলেন, "আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য এখন সময় এসেছে ইসরায়েলকে তাদের সব অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়ার।" তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য ইসরায়েলের 'গণহত্যা' সফল হবে না।
এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি, এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস উপস্থিত আছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বলে তুর্কি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। তবে সৌদি আরবের কার্যত শাসক যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান বৈঠকে অংশ নেবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। উল্লেখ্য, এই সপ্তাহের শুরুতে তিনি কাতারে সফর করেছিলেন।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাঈম এই সম্মেলন থেকে 'একটি দৃঢ় ও অভিন্ন আরব-ইসলামী অবস্থান' এবং 'স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ' প্রত্যাশা করেছেন। উল্লেখ্য, কাতার এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটির স্বাগতিক দেশ। একই সঙ্গে দেশটি ইসরায়েল-গাজা সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছেন, সম্মেলনে 'কাতার রাষ্ট্রে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব' আলোচিত হবে। এই সম্মেলন থেকে ফিলিস্তিন সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।