দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রবিবার সকাল আটটা থেকে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৫। এই সময়ে নতুন করে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৮২ জন রোগী। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা হলো ৫০ হাজার ৬৮৯ জন।
ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে দেশে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু ও সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়। সেই সময় জনস্বাস্থ্যবিদ ও বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে অক্টোবর বা নভেম্বরে পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে পারে। এই মাসের শুরু থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গতকাল রবিবার দেশে একদিনে ডেঙ্গুতে নয়জনের মৃত্যু হয়। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বরও ২৪ ঘণ্টায় নয়জন মারা গিয়েছিলেন।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গুতে যে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা হাসপাতালে। অন্য একজনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ৪৯৫ জন পুরুষ এবং ২৮৭ জন নারী।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১২ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকার দুই সিটির হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার দুই সিটির বাইরে বিভাগভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, এই ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা গেছে বরিশাল বিভাগে, যেখানে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৭৪ জন। এর মধ্যে বরগুনার হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন।
২০০০ সালে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের শুরুতে রোগটি মূলত রাজধানীকেন্দ্রিক ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে এটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছর থেকেই ডেঙ্গু ঢাকার বাইরে ব্যাপক হারে বিস্তৃত হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৯ জন, আর ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৪০।