যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান অভিযোগ করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থের কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক রেডিও সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে খুব সামান্য ব্যবসা করলেও ভারত বিশাল অঙ্কের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে। এর আগে, তিনি হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের ওপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের এই বাণিজ্যিক বৈরিতার মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চীন সফর বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন এক সমীকরণের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এদিকে, ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে বিশেষ মূল্যছাড় পাচ্ছে।
বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের মার্কিন বাজারে রপ্তানি নির্ভরতা এতটাই বেশি যে সরাসরি পাল্টা শুল্ক আরোপ করা তাদের জন্য আত্মঘাতী হবে। এর পরিবর্তে, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীন, জাপান, রাশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে বিকল্প বাজার তৈরি করাই ভারতের প্রধান কৌশল। এর প্রতিক্রিয়ায়, ভারত স্থানীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াতে এবং শুল্কের চাপ সামলাতে ছোট গাড়ি থেকে শুরু করে এয়ার কন্ডিশনার পর্যন্ত শত শত পণ্যের ওপর থেকে কর কমিয়েছে এবং চার স্তরের জিএসটি দুই স্তরে নামিয়ে এনেছে।
সুলিভানের অভিযোগ, এ বছরের শুরুতে ট্রাম্প পরিবারের মালিকানাধীন ক্রিপ্টো কোম্পানি 'ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল' পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। এই চুক্তির ফলে ইসলামাবাদে মার্কিন বিনিয়োগ ও তেল-সম্পদ উন্নয়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সুলিভান দাবি করেন, ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত লাভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকে উৎসর্গ করছেন।