ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ইসরায়েল-ফিলিস্তিনবিষয়ক বিশেষ দূত ওফার ব্রনসটাইন জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশনে যোগ দেওয়া ফরাসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে থাকা ওফার ব্রনসটাইন আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান।
ওফার ব্রনসটাইন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েল সরকার বিভিন্ন বিবৃতি দিলেও, যুদ্ধ শেষ হওয়ার এবং হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কোনো পক্ষেরই বাস্তবসম্মত প্রস্তাবনা নেই।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের বিশেষ এই দূত জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান একমাত্র কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক পথেই আসতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, "আমরা দেখেছি, সহিংসতা ও যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। এভাবে কোনো সমাধান হবে না।"
তিনি আরও বলেন, ফ্রান্সকে অনুসরণ করে ইউরোপীয় দেশগুলোসহ আরও অনেকে যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
ব্রনসটাইন ইসরায়েলের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার বিষয়টি উল্লেখ করেন, যা ইসরায়েল স্বীকার করতে চায় না এবং উল্টো ওই অঞ্চলটিকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "ফ্রান্স সরকার যদি মনে করে, ইসরায়েল ভূমি যুক্ত করার বা অন্য কোনো বড় আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাহলে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে একই আচরণ করব, যেমন আচরণ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য করছি।"
ফরাসি দূত মনে করেন, ইসরায়েল সরকার দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করছে না, বরং দেশকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। তিনি একই সঙ্গে হামাসকে তাদের হাতে থাকা সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। তার মতে, বন্দীদের মুক্তি না দেওয়া হলে ইসরায়েল এই ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের একদিন আগে, গত সোমবার নিউইয়র্কে এক বিশেষ সম্মেলনে ফ্রান্সসহ নতুন ছয়টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে রোববার যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগালও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি প্রদান করে। সব মিলিয়ে দুই দিনে মোট ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।