আফগানিস্তানজুড়ে সাম্প্রতিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার পর দেশব্যাপী ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তালেবান প্রশাসন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে, বুধবার (০১ অক্টোবর) একটি চ্যাট গ্রুপে পাকিস্তানি সাংবাদিকদের দেওয়া এক বিবৃতিতে তালেবান কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে, পুরোনো ফাইবার-অপটিক কেবলগুলোর কারণে এই ইন্টারনেট বিভ্রাট ঘটেছে এবং এগুলোর প্রতিস্থাপন প্রয়োজন।
তিন লাইনের ওই বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেছেন, “আমরা ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি বলে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, সেরকম কিছুই হয়নি।”
গত সোমবার থেকে দেশজুড়ে যোগাযোগ বিপর্যয় (ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা) শুরু হওয়ার পর এটিই ছিল তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রকাশ্য ঘোষণা।
এর আগে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকস জানায়, প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটিতে 'সম্পূর্ণ ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন' ছিল।
আল জাজিরা জানিয়েছে, তালেবান প্রশাসন ইন্টারনেট বন্ধে তাদের কোনো হাত নেই বলে দাবি করলেও, এর আগে 'অনৈতিক কর্মকাণ্ড' বন্ধে নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার ডিক্রির অংশ হিসেবে তারা দেশের কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছিল।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর, বালখ প্রদেশের মুখপাত্র নিশ্চিত করেন যে, 'অপরাধ প্রতিরোধের জন্য' উত্তরাঞ্চলীয় এই প্রদেশে ফাইবার-অপটিক ইন্টারনেট সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া, গত মাসে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাদাখশান ও তাখর এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হেলমান্দ, কান্দাহার ও নাঙ্গারহারেও একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপের খবর পাওয়া গিয়েছিল।
সর্বশেষ, সোমবার একজন আফগান সরকারি কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্কের ‘৮ থেকে ৯ হাজার টেলিযোগাযোগ স্তম্ভ’ বন্ধ থাকবে।
(সূত্র: আল জাজিরা)