সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে তীব্র ব্যঙ্গ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ট্রাম্প থুনবার্গকে 'রাগী' ও 'সমস্যা সৃষ্টিকারী' হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তার 'রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা' রয়েছে বলে দাবি করেন।
২২ বছর বয়সী এই কর্মী মঙ্গলবার সকালে তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ট্রাম্পের বক্তব্য প্রসঙ্গে লেখেন। তিনি উল্লেখ করেন, "আমি শুনেছি ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আমার চরিত্র সম্পর্কে তার প্রশংসনীয় মতামত দিয়েছেন। আমার মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি তার উদ্বেগের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।"
এরপরই তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ব্যঙ্গ করে বলেন, "আমি আনন্দের সঙ্গে যেকোনো পরামর্শ গ্রহণ করব, কীভাবে 'রাগ নিয়ন্ত্রণ সমস্যা' সামলানো যায়—কারণ আপনার চমৎকার রেকর্ড দেখে মনে হচ্ছে, এই বিষয়ে আপনার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে।"
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যটি আসে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪২টি জাহাজের বহর নিয়ে ইসরায়েল কর্তৃক আটক ও বহিষ্কারের ঘটনার পর। ট্রাম্প সেসময় মন্তব্য করেন, থুনবার্গ "কেবল সমস্যা তৈরি করে... এখন আর পরিবেশ নিয়ে নয়, সে এক রাগী মানুষ। আমি মনে করি তার একজন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।"
ট্রাম্প ও থুনবার্গের মধ্যে বিতর্ক এটিই প্রথম নয়। গত জুনেও ট্রাম্প থুনবার্গকে 'অদ্ভুত' ও 'রাগী' বলে আক্রমণ করেছিলেন, যার জবাবে থুনবার্গ তখন বলেছিলেন, "এই পৃথিবীর আরো রাগী নারীর প্রয়োজন।" ২০১৯ সালে জাতিসংঘে থুনবার্গের জলবায়ু বক্তৃতার পর ট্রাম্প তাকে ব্যঙ্গ করে 'খুবই খুশি এক তরুণী!' লিখে টুইট করেছিলেন।
২০১৮ সালে শুরু করা 'ফ্রাইডেস ফর ফিউচার' আন্দোলনের মাধ্যমে গ্রেটা থুনবার্গ বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান। জলবায়ু আন্দোলনের পাশাপাশি তিনি বর্তমানে মানবিক সহায়তার কাজেও যুক্ত আছেন, বিশেষ করে গাজা উপত্যকায়।