শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ মহানবমী। বিজয়ের আনন্দ এবং একইসঙ্গে বিদায়ের বিষাদের সংমিশ্রণে আজ দেবী দুর্গার আরাধনা চলছে দেশের মণ্ডপে-মণ্ডপে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে নবরাত্রির এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আজই পূজিত হচ্ছেন মহামায়া।
আজ, বুধবার (০১ অক্টোবর) দুর্গা পূজার নবমী তিথিতে দেবীকে প্রাণ ভরে দেখে নেওয়ার শেষ দিন। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী। প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে পাঁচ দিনব্যাপী এই শারদীয় দুর্গোৎসবের।
মহানবমীর এই দিনে মণ্ডপে-মণ্ডপে দুর্গাদেবীর আরাধনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভক্তরা নবমীর কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মাধ্যমে গভীর প্রার্থনায় মগ্ন। এদিন সন্ধ্যায় দেবী দুর্গার 'মহাআরতি' অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও মহানবমীতে বলিদান ও নবমী হোম-এর মতো বিশেষ রীতির প্রচলন রয়েছে। মূলত, 'সন্ধিপূজা' সমাপ্তির পরেই মহানবমী তিথি শুরু হয়।
এই দিনে ১০৮টি নীলপদ্মে দেবী দুর্গার পূজা করার ঐতিহ্য রয়েছে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, এই সন্ধিক্ষণেই দেবী দুর্গা চামুণ্ডা রূপে মহিষাসুরকে বধ করে সব অশুভ শক্তি বিনাশ করেন। পূজা শেষে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা থাকে। নবরাত্রির এই দিনে ভক্তরা সিদ্ধিদাত্রী রূপে দেবীর উপাসনা করে সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে থাকেন।
মণ্ডপে-মণ্ডপে চলছে প্রাণের উৎসব, তবে একইসাথে ভক্তদের মাঝে বিদায়ের বিষাদের সুরও পরিলক্ষিত হচ্ছে। সাধারণত, দুর্গাপূজার দিনগুলোর মধ্যে মহানবমীতেই পূজামণ্ডপগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায়। একদিকে দেবীর আগমনী আনন্দ, অন্যদিকে দেবীর প্রত্যাবর্তনের অনুভূতি—এই দুইয়ের মিশ্রণে ভক্তদের মাঝে এক মিশ্র উপলব্ধি তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, প্রতিমা বিসর্জনের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্ট গার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে।