বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন যে, দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল ধরনের আইনি সমস্যার সমাধান এবং রাজনৈতিকভাবে উপযুক্ত সময় এলেই দেশে ফিরবেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনের সাথে আলাপকালে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গটি উঠে আসে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি দেশে আসবেন যখন তাঁর সকল আইনি সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। যে মুহূর্তে আমরা মনে করব যে, রাজনৈতিকভাবে এটিই তাঁর প্রত্যাবর্তনের সঠিক সময়। তাঁর ফেরার ক্ষেত্রে এখনো আইনি সমস্যা বিদ্যমান।”
তিনি আরও যোগ করেন, “তিনি আমাদের নেতা, এই জাতির নেতা এখন। তাঁর সমস্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সে কারণেই আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, যখন আমরা মনে করব রাজনৈতিকভাবে তাঁর আসার সময় হয়েছে, তখনই তিনি আসবেন।”
জামায়াতে ইসলামীর সাথে বিএনপির মুখোমুখি অবস্থান এবং সম্পর্কের অবনতি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব রাজনীতি, চিন্তা ও ভাবনা থাকে। সব সময় একই রকম থাকবে, তা তো নয়। তাই জামায়াতে ইসলামীর সাথে আমাদের সম্পর্ক খারাপ নয়। একটি দলের সাথে আরেকটি দলের যে সম্পর্ক থাকা উচিত, সে সম্পর্কই বিদ্যমান।”
আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি ডেকে এনেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেন, “আওয়ামী লীগ দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিজেরাই নিজেদের মেরে ফেলেছে। তারা তাদের সমস্ত চরিত্র বিলীন করে দিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট দলে পরিণত হয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের তার প্রতি কোনো ভালোবাসা বা আস্থাও নেই। এই পার্টির ওপর মানুষের যে আস্থা ছিল, তারা যে কাজগুলো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সে কাজগুলো করেনি; বরং উল্টো একটি আলাদা সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যে কারণে আমি মনে করি যে, আওয়ামী লীগের যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, যারা দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নষ্ট করার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার হওয়া উচিত। সিরিয়াসলি বিচার হওয়া উচিত এবং সেজন্য তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত।”
মির্জা ফখরুল ব্যক্তিগতভাবে এবং দলের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানের বরাতে বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার পক্ষে নই। কিন্তু যদি সেই রাজনৈতিক দল কোনো গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হয়, সেজন্য নিশ্চয়ই তাকে শাস্তি পেতে হবে। তবে এটাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। দেশে যে আইন আছে, সে আইনের আওতায় আসতে হবে।”