এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে বেশ ইতিবাচক। একাদশে চারটি পরিবর্তন এনে ওপেনিংয়ে সুযোগ পান সাইফ হাসান। ক্রিজে থিতু হওয়ার মতো বল পেলেও তার ব্যাটিং ছিল নড়বড়ে। অন্যদিকে, ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তার ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ছক্কার নতুন রেকর্ড গড়েছে। একই সাথে তামিমও ব্যক্তিগতভাবে এক বছরে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন।
হংকংয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু করে টাইগাররা। ওই ম্যাচে একটি ছক্কা মেরে পারভেজ হোসেন ইমন এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ ছক্কার রেকর্ড গড়েছিলেন। তার সঙ্গে রেকর্ড গড়ার লড়াইয়ে ছিলেন তামিম। তবে হংকংয়ের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোনো ছক্কা হাঁকাতে পারেননি তামিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ওপেনারই অবশ্য রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি ইমন। আর এই সুযোগে তামিম তাকে ছাড়িয়ে যান। ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণের পথে এই বাঁ-হাতি ব্যাটার তিনটি ছক্কা হাঁকান। এর মাধ্যমে এক পঞ্জিকাবর্ষে টাইগারদের হয়ে তার ছক্কার সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬টি, যা সর্বোচ্চ। ২৩ ছক্কা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ইমন। এই রেকর্ড গড়ার ম্যাচে তানজিদ তামিমই দলকে পথ দেখিয়েছেন। নূর আহমেদের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে তিনি ৩১ বলে ৫২ রান করেন, যাতে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা।
তানজিদ তামিম ব্যক্তিগতভাবে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন। আবুধাবিতে টি-টোয়েন্টিতে তিনি যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন। তামিম ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তার সমান বলে ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার মিচেল মার্শ। আবুধাবিতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি মোহাম্মদ ওয়াসিমের, যিনি ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ২১ বলে এই কীর্তি গড়েন। দ্বিতীয় দ্রুততম ২৬ বলে ফিফটি করার রেকর্ডটি আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের, যা তিনি করেছিলেন ২০২১ সালে।
তানজিদ তামিমের মারা দ্বিতীয় ছক্কা দিয়েই বাংলাদেশ দল এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড পূর্ণ করে। গত বছর টাইগাররা সর্বোচ্চ ১২২টি ছক্কা হাঁকিয়েছিল। এবার ৬ ম্যাচ কম খেলেই তারা সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ছক্কার সংখ্যা ১২৬টি।