ফ্যাসিস্টের দোসর ও অনিয়মের অভিযোগে বিচারকাজ থেকে বিরত থাকা ১২ বিচারপতির মধ্যে চার বিচারপতির বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে এখনো তদন্ত চলছে।
আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর), সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ১৫ অক্টোবর ‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও করার ঘোষণা আসে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের তৎকালীন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের ফেসবুক থেকে। এরপর শিক্ষার্থীরা ১৬ অক্টোবর মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন এবং বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, তৎকালীন রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা জানান যে, প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ জন বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চে রাখা হচ্ছে না। ফলে, ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর থেকে তারা বিচার কাজে অংশ নিতে পারবেন না।
বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের এই কাউন্সিল কার্যক্রম শুরু করে। অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। সংবিধান অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি ও জ্যেষ্ঠ দুজন বিচারপতির সমন্বয়ে এই কাউন্সিল গঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানিয়েছে যে, হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি তাদের বেঞ্চ প্রদান থেকে বিরত থাকেন। তাদের মধ্যে:
বর্তমানে, বাকি চার বিচারপতির বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।