পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদকে একাধিক হত্যা ও দুর্নীতি মামলায় ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী ডিবি'র ওসি মো. জসিম উদ্দিন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তিনি ধানমন্ডির এক আইনজীবীর বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, গত বছর ২৯ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়। বাড্ডা এলাকায় ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. সিরাজুল ইসলাম বেপারীর খালাতো ভাই মো. হাসিবুল হাসান লাবলু এই অভিযোগটি দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে বাড্ডা থানা পুলিশ এটিকে এজাহার হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে। এই মামলায় মোট ১২০ জনকে আসামি করা হয়, যার মধ্যে মহিউদ্দিন আহমেদ ১৩ নম্বর আসামি।
এছাড়াও, ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর সরকারি খাল দখলকে কেন্দ্র করে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে জুলফিকার আলী তালুকদারের ছেলে মাকসুদুর রহমানকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর মাকসুদুরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত মাকসুদুরের ভাতিজা এনাহক হক তালুকদার পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মহিউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত সিআইডিকে মামলাটির তদন্তের নির্দেশ দেয়।
মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর দুটি মামলার তদন্তও চলমান আছে। সম্প্রতি ঢাকার দুদক কার্যালয়ের একটি দল পটুয়াখালী গিয়ে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরেজমিন তদন্ত করে এসেছে। এছাড়াও, পটুয়াখালী এলজিইডি অফিসে তার বিরুদ্ধে দুদকের আরেকটি চিঠির তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।