জনগণ না চাইলে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির দাবি থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি এই বিষয়ে গণভোট আয়োজনেরও দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে 'জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও নির্বাচন' শীর্ষক এক সেমিনারে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদেরকে বড় দল মনে করে বলেই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চায় না। তবে, গণভোটে জনগণের রায় যা হবে, জামায়াত তা মেনে নেবে। যদি জনগণ এই পদ্ধতি না চায়, তাহলে জামায়াতও এই দাবি থেকে সরে আসবে।
অধ্যাপক গোলাম পরওয়ারের মতে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দেওয়া হলে আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তিনি বলেন, দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার পক্ষে। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি রোধে কাঠামোগত সংস্কারের কথা উঠলেই কিছু রাজনৈতিক দল গড়িমসি করে, আর নির্বাচন কমিশনও রাজনৈতিক চাপের কারণে দুর্বল অবস্থানে চলে আসে।
নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন আদৌ হবে কিনা, কীভাবে হবে বা কোন কোন দল অংশ নেবে, এসব নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।
জামায়াত সেক্রেটারি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক তথ্য এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি এই ঘোষণাপত্র সংশোধন করে পুনরায় প্রকাশের দাবি জানান।
তিনি জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য জামায়াতে ইসলামী একটি খসড়া রূপরেখা গত রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। জামায়াত অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনো প্রকারের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই একটি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সংস্কারের সব প্রস্তাব মুছে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই ঘোষণাপত্রের সংশোধন এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
সেমিনারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেনও জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, “দাবি না মানলে কী হবে, সেটা আমার চেয়ে আপনারা ভালো জানেন।”