ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অভিযোগ করেছেন, ক্রিকেট বোর্ডের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালকে ব্যবহার করে একটি পক্ষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। আসিফ মাহমুদ এই মন্তব্য করেছেন তামিমের পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগের জবাবে।
গতকালের এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী তামিম ইকবাল অভিযোগ করেন, সরকারের উচ্চপদস্থ মহল নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। সরাসরি নাম উল্লেখ না করলেও তার ইঙ্গিত ছিল যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার দিকে।
যমুনা টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ সেই অভিযোগের জবাব দেন। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনের স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। বরং তার দাবি, একটি গোষ্ঠী তামিমকে সামনে রেখে অবৈধভাবে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তামিমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভিন্ন চিঠি পাঠিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইছে। এর জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, সরকারের অধীনস্থ যেকোনো পক্ষের সঙ্গে কথা বলা একটি স্বাভাবিক ‘রুটিন কার্যক্রম’, যা কোনোভাবেই অবৈধ হস্তক্ষেপ নয়।
আসিফ মাহমুদ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, কিছু রাজনৈতিক নেতা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিভিন্ন জেলার ডিসিদের ফোন করছেন, যা একটি ‘অবৈধ হস্তক্ষেপ’। তিনি আরও বলেন, “তামিম ভাইয়ের পক্ষে লোকজন গিয়ে মানুষজনকে অপহরণ করছে ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ দখল করার জন্য। তারপর তামিম ভাইয়ের পক্ষে বুলবুল ভাইকে ফোন দিয়ে বলা হলো, আপনি নির্বাচন থেকে সরে যান, আপনাকে আমরা সিইও বানাই। এগুলোকে তাহলে কী বলবেন? এগুলো তো সন্ত্রাসী কার্যক্রম।”
আসিফ মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, তামিম ইকবালের মতো একজন জনপ্রিয় ক্রিকেটারকে সামনে রেখে এসব কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে এবং তিনি নিশ্চিত নন যে তামিম নিজেও এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কি না।
ক্রীড়া উপদেষ্টা জানান, তিনি চান নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হোক। তিনি ব্যক্তিগতভাবে খুশি হতেন যদি তামিম একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, বরং বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেন।