জাকসু নির্বাচনকে ঘিরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ছাত্রদল এবং বাম সমর্থিত তিনটি প্যানেল ভোট বর্জন করেছে। কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ভোট বর্জনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে। এদিকে, ভোটের ফলাফল নিয়ে শিবির সমর্থিত প্যানেল বলছে, পরাজয়ের ভয়েই এই বর্জন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। নানা অভিযোগের মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্সগুলো নির্বাচন কমিশনে (পুরাতন প্রশাসনিক ভবন) নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তা গণনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে স্থানান্তরিত হয়, যেখানে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
ভোট বর্জনকারী ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, শিবিরকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য ভোট কারচুপি করা হয়েছে এবং প্রশাসন এ বিষয়ে নীরবতা পালন করেছে। ভোট শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে তারা এই বর্জনের ঘোষণা দেয়। এর পরপরই বাম সমর্থিত প্রার্থীরাও একই অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তারা ভোটারের চেয়ে কেন্দ্রে বেশি ব্যালট পাওয়ার অভিযোগও তুলেছেন। এমনকি বিএনপি সমর্থিত বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তাও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন।
এবারের জাকসু নির্বাচনে জাবি কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে মোট ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ভিপি পদে ৯ জন এবং জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। শেষ মুহূর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১,৯১৯ জন, যার মধ্যে ৪৮.৮ শতাংশই ছাত্রী।