জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার মন্তব্য করেছেন যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি জনগণই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তার মতে, গণভোটের মাধ্যমেই এই সনদের বাস্তবায়নের দায়ভার জনগণের উপর বর্তাচ্ছে। একটি টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
সারোয়ার তুষার বলেন, আট মাস ধরে আলোচনার পর এই গণভোটের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। তবে গণভোটের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে একদিনেই সকলে একমত হবেন—এমন আশা করা যায় না।
গণভোটের সময়কাল নিয়ে দুটি প্রধান মত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। একটি পক্ষ মনে করে, সাধারণ নির্বাচনের দিনেই একই সাথে গণভোট অনুষ্ঠিত হোক। এই ক্ষেত্রে, জনগণ সরকার পরিচালনার জন্য প্রার্থীর প্রতীকে সিল মারার পাশাপাশি অন্য একটি ব্যালটে জুলাই সনদের অনুমোদন বা অননুমোদনের (হ্যাঁ/না) পক্ষে ভোট দেবে।
অন্যদিকে, আরেকটি পক্ষের বক্তব্য হলো, গণভোটটি আগেই, অর্থাৎ নভেম্বর বা ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তাদের আশঙ্কার কারণ হলো, সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠিত হলে, ভোটাররা যেহেতু সরকার নির্বাচনের জন্য প্রতীকে ভোট দিতে অভ্যস্ত, তাই প্রথম ব্যালটে যে পরিমাণ মনোযোগ দেওয়া হবে, জুলাই সনদের ব্যালটটি তার তুলনায় গৌণ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া, সাধারণ নির্বাচনের দিনে সৃষ্ট নানাবিধ উত্তেজনা বা টানাপড়েনের মধ্যে গণভোট বা জুলাই সনদকে অন্তর্ভুক্ত করা যুক্তিযুক্ত হবে কি না—তা নিয়েও অনেকের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
সারোয়ার তুষার যোগ করেন যে জুলাই সনদের জন্য গণভোট একটি 'টেকনিক্যাল বিষয়'। অনেকের মতে, আলাদা আলাদা দু'টি দিনে এটি করা কঠিন হবে। তিনি সরাসরি নির্বাচনের দিন এটি করা সবচেয়ে ভালো হবে—এমনটা না বললেও মনে করেন, নির্বাচনের দিনে হলেও এটিকে একটি আলাদা ও পূর্বনির্ধারিত বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে। তার মতে, এর ফলাফলের সঙ্গে সাধারণ নির্বাচনের ফলের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।