সম্প্রতি, জাতিসংঘের একদল স্বাধীন বিশেষজ্ঞ ফুটবল থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার জন্য ফিফা এবং উয়েফার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তাদের এই দাবি এসেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যার অভিযোগের প্রেক্ষিতে।
এর আগে স্পেনও ইসরায়েলকে ক্রীড়াক্ষেত্র থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য আহ্বান জানায় এবং ঘোষণা দেয় যে, ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ না করা হলে তারা ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে তাদের ফুটবল দল নাও পাঠাতে পারে।
জাতিসংঘের ৮ জন বিশেষজ্ঞ একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, 'যেসব দেশ ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, সেই দেশের জাতীয় দলকে নিষিদ্ধ করা উচিত।' বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন যে, যেসব দেশ ইসরায়েলের সাথে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করে, 'গণহত্যার মুখে তাদের নিরপেক্ষ থাকা উচিত নয়।'
এই বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রানসেসকা আলবানিজ এবং ব্যবসা ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের কর্মীরা। তারা রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার কথা বললেও, ব্যক্তিগত খেলোয়াড়দের প্রতি কোনো বৈষম্য বা নিষেধাজ্ঞা থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন।
পূর্বে, লন্ডনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি অনুষ্ঠানে সাবেক ফুটবলার এরিক ক্যান্টোনা বলেছিলেন যে, ইউক্রেনে হামলার মাত্র চার দিন পরেই ফিফা ও উয়েফা রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছিল। অথচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যাকে গণহত্যা বলছে, তার ৭১৬ দিন পরেও ইসরায়েল আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিচ্ছে। ক্যান্টোনা ফিফা ও উয়েফাকে অবিলম্বে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান এবং ক্লাবগুলোর প্রতি ইসরায়েলি দলের সঙ্গে না খেলার পরামর্শ দেন।
সূত্র: বার্তাসংস্থা আনাদোলু।