জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (জাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষে এখন ফলাফলের অপেক্ষা। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে জাকসুর ২৫টি পদের জন্য মোট ১৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া, ১১টি ছাত্র হল এবং ১০টি ছাত্রী হলের মোট ৩১৫টি পদের জন্য ৪৬৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে মোট ১১,৯১৯ জন নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন, যার মধ্যে ছাত্র ৬,১০২ জন এবং ছাত্রী ৫,৮১৭ জন।
ভোটগ্রহণ চলাকালীন, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ছাত্রদলের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে এই সিদ্ধান্ত জানান।
ছাত্রদলের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে প্যানেলটি বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, পোলিং এজেন্টদের হয়রানি, এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে পক্ষপাতমূলক আচরণ। তারা দাবি করেছেন যে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে।
অপরদিকে, অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা আশা করছেন, নির্বাচনের ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করা হবে।
ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন প্যানেল ছাত্রদলের এই নির্বাচন বর্জন প্রক্রিয়াকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, যখন ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল, তখন এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারা বিশ্বাস করেন যে নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় ছাত্রদল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাত ৮টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।