জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন ঘিরে ওঠা অনিয়মের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এই দাবি জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের কতিপয় সদস্য এবং তাদের সহযোগী প্রভোস্টদের কর্মকাণ্ডে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করেছে। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (১৫ নম্বর হল), জাহানারা ইমাম হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে জাল ভোট ও প্রার্থী-প্রতিনিধিদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
১৫ নম্বর হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে সরাসরি একটি প্যানেলের পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পর্যবেক্ষক দল এই হলে ব্যালট পেপার পড়ে থাকাসহ নানা অনিয়ম দেখতে পেয়েছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে ক্রমিক নম্বর থাকলেও জাকসুর ব্যালটে তা ছিল না। অথচ ভোটের বৈধতা নিশ্চিত করতে ক্রমিক নম্বর থাকা জরুরি। এছাড়া, ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় ভোটার শনাক্তকরণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ভোটার তালিকায় অসংগতির কারণে বহু শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারেননি। দ্বৈত ভোটদান প্রতিরোধের জন্য নির্বাচনী অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের আগের রাতে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং নির্বাচনের দিন বিভিন্ন অনিয়ম একই সূত্রে গাঁথা। সংগঠনটি এই নির্বাচনকে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের জেতানোর জন্য আয়োজিত প্রহসন বলে অভিহিত করেছে।
ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগের রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসত্য তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়। অথচ, ওই সময়ে শুধুমাত্র ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি রিটার্নিং অফিসারদের তত্ত্বাবধানে পাঠানো হয়েছিল। ব্যালট পেপার পাঠানো হয় নির্বাচনের দিন সকালে। এই ধরনের মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই ছাত্রদলকে কোণঠাসা করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।