ক্রিকেটের আগ্রাসী ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা এখন যেন নিয়মিত ঘটনা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মারার ঘটনা ক্রিকেট বিশ্ব এর আগেও দেখেছে। তবে এবার ইতিহাস গড়ে এক ওভারের ছয় বলেই চার মারার অভূতপূর্ব রেকর্ড সৃষ্টি হলো। আফ্রিকা অঞ্চলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে এই অনন্য কীর্তি গড়লেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার ব্রায়ান বেনেট।
হারারেতে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। কেনিয়ার দেওয়া ১২৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেটের বড় জয় নিশ্চিত করে। এই জয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখেন ওপেনার বেনেট। তিনি মাত্র ২৫ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫১ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন এবং ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
লক্ষ্য তাড়া করার সময় কেনিয়ার বাঁ-হাতি পেসার লুকাস ওলুচের করা চতুর্থ ওভারে বেনেট ছয়টি বলের সবকটিতেই চার হাঁকান। এই ওভারে ২৪ রান খরচ করার পর ওলুচকে আর বোলিংয়ে আনা হয়নি। এই রেকর্ড বেনেটকে যেমন এক অনন্য কীর্তির তালিকায় স্থান দিয়েছে, তেমনি ওলুচের জন্য এটি একটি বিব্রতকর অভিজ্ঞতা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে ওভারের ছয় বলে চার মারার এমন রেকর্ড এই প্রথম। ২১ বছর বয়সী বেনেট প্রথমবার এই বিশ্বরেকর্ড গড়লেন। এই ইনিংসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নবম টি-টোয়েন্টি ফিফটিও পূর্ণ করেন তিনি। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানির সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৬.২ ওভারে তারা ৭২ রান যোগ করেন। বেনেটের বিদায়ে এই জুটি ভাঙে।
বেনেটের পর মারুমানি ৩৯ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। সিকান্দার রাজার নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ের হাতে তখনও ৫ ওভার বাকি ছিল।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে জিম্বাবুয়ে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল। আফ্রিকা অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে নামিবিয়া আগেই বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ হয়। দ্বিতীয় দেশ হিসেবে তাদের সঙ্গে বিশ্বকাপের টিকিট পেল জিম্বাবুয়ে। টেস্ট খেলুড়ে দেশ হওয়া সত্ত্বেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে তারা খেলতে পারেনি, কারণ সেবার তারা বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে ব্যর্থ হয়েছিল।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা সপ্তদশতম দেশ হলো জিম্বাবুয়ে। বাকি থাকা তিনটি স্পটের জন্য এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে দল আসবে। সেই পর্ব আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ওমানে শুরু হবে। জাপান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি, কাতার, সামোয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে এই তিনটি জায়গার জন্য লড়াই হবে। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে।