রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামালের মতে, বিএনপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত এই নির্বাচনের জন্য দলটি ২০০টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের চূড়ান্ত করেছে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি, তবে দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে যে মনোনীত প্রার্থীরা ইতোমধ্যে নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
মাসুদ কামাল তার ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, বিএনপির এই সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত ইতিবাচক। তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে তাদের সব আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং প্রার্থীরা ঘরোয়াভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন, বিশেষ করে নারী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। জামায়াতের পুরুষ প্রার্থীরা মসজিদ, হাট-বাজার এবং সামাজিক gatherings-এ জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় করছেন।
তিনি আরও জানান, কিছুদিন ধরে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের নিষ্ক্রিয়তা এবং কিছু এলাকায় চাঁদাবাজি ও দখলবাজির খবর শোনা যাচ্ছিল, যা দলের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করাকে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।
লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপ এবং অন্যান্য মাধ্যমে দলীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং সরাসরি নির্দেশনা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই আগাম প্রার্থী ঘোষণার ফলে সম্ভাব্য বিদ্রোহী প্রার্থীদের শনাক্ত করা এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেয়ে অনেক সহজ হবে।
মাসুদ কামাল বিশ্বাস করেন, বিএনপির এই সিদ্ধান্তের সুফল খুব শীঘ্রই দেখা যাবে এবং বাকি প্রায় ১০০টি আসনের প্রার্থীও দ্রুত চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।