বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভারত যদি স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরাগভাজন হয়, তবে সে ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু করার নেই। তাঁর মতে, দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিলে সরকার হিসেবে তাঁদের জনগণের সঙ্গেই থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত তারেক রহমানের দুই পর্বের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ আগস্টে আওয়ামী লীগের পতন ঘটার পর শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এই প্রেক্ষাপটে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বিএনপি সরকার গঠন করলে ভারতের সঙ্গে বর্তমানে বিরাজমান শীতল সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন আনা হবে কি না।
এর জবাবে তারেক রহমান বলেন, "তারা যদি স্বৈরাচারকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের সাথে শীতল থাকবে। সুতরাং, আমাকে আমার দেশের মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে।"
এর আগে, গতকাল এই সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রচারিত হয়। সেই পর্বে তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন এবং আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানান। আগামী নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রত্যাশী হবেন কি না—এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের এবং দল তাঁকে মনোনয়ন দেবে কি না, সেটাও দলের সিদ্ধান্ত।
নিজের নিরাপত্তা সংক্রান্ত শঙ্কার কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম ও মিডিয়ায় সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকেও এ ধরনের শঙ্কার কথা প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি নিজেকে 'জুলাই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড' মনে করেন না বলে উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, কোনো ব্যক্তি নয়, গণতন্ত্রকামী জনগণই এই অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড। নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, "যেসব দলকে আমাদের সঙ্গে রাজপথের আন্দোলনে পেয়েছি, তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবং সবার মতামতকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করতে চাই।"
আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে কাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে—সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করেন যে, যার প্রতি জনসমর্থন আছে এবং যে সেই জনসমর্থনকে ধরে রাখতে পারে, সে রকম মানুষ দেখেই বিএনপি মনোনয়ন দেবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ তার শারীরিক সক্ষমতার (ফিজিক্যাল এবিলিটি) ওপর কিছুটা হলেও নির্ভর করছে বলেও তারেক রহমান সাক্ষাৎকারে জানান।