টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪১ রানের ব্যবধানে পরাজয় একটি বড় ব্যবধানের হার। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের কাছে বাংলাদেশ এই ব্যবধানে হেরেছে। লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৬৯ রান, যা বাংলাদেশ সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাড়া করে জিতেছিল। তবে এদিনের ম্যাচে জাকের আলীর নেতৃত্বাধীন দল লড়াইও করতে পারেনি, শেষ তিন বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
ব্যাট হাতে সাইফ হাসানের লড়াকু ইনিংস (৫১ বলে ৬৯ রান) সত্ত্বেও বাংলাদেশের পরাজয় নিশ্চিত হয়। এই জয়ের মাধ্যমে ভারত এশিয়া কাপের ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছে। অন্যদিকে, আগামী দিনের বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ম্যাচটি এখন পরিণত হয়েছে অঘোষিত সেমিফাইনালে। এই ম্যাচের বিজয়ী দল আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে।
দ্বিতীয় ওভারেই তানজিদ তামিমের উইকেট হারানোর পর সাইফ হাসান এবং পারভেজ হোসেন ইমনের জুটিতে পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান তুলে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে ছিল। তবে, এরপরই ৪১ রানের মধ্যে ইমন, তাওহীদ হৃদয়, শামিম হোসেন এবং জাকের আলীর উইকেট হারিয়ে দল ভীষণ চাপে পড়ে যায়।
ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপ যাদবকে ছক্কা মারতে গিয়ে অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন পারভেজ হোসেন ইমন। জাসপ্রিত বুমরাহকে ছক্কা মারা ইমন ১৯ বলে করেন ২১ রান। তাওহীদ হৃদয় হাত খোলার আগেই অক্ষর প্যাটেলের শিকার হন। তিনি ১০ বলে করেন মাত্র ৭ রান।
সাধারণত ফিনিশিংয়ে নামা শামিম হোসেনকে এই ম্যাচে জাকের আলীর আগে ব্যাটিংয়ে নামানো হয়, কিন্তু ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি এবং বরুণ চক্রবর্তীর বলে বোল্ড হন। অন্যদিকে, জাকের আলীও রানআউট হন।
অন্যপ্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়লেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের নায়ক সাইফ হাসান বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রাখেন। জাকের আলীর রানআউট হওয়ার পর সাইফ ৩ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিন বলের ব্যবধানে তার দুটি ছক্কায় বাংলাদেশ ১৩.৪ ওভারের মধ্যে ১০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছায়। তবে, এই ম্যাচে সাইফউদ্দিন বোলিংয়ে ৩ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন। ব্যাট হাতেও তিনি সুবিধা করতে পারেননি, ৭ বলে ৪ রান করে আউট হন।
১৭তম ওভারে কুলদীপ যাদব টানা দুই বলে রিশাদ ও তানজিম সাকিবের উইকেট তুলে নেন। রিশাদ সীমানার কাছে ক্যাচ দিলেও সাকিব হন বোল্ড আউট। তিনবার জীবন পাওয়া সাইফ হাসান শেষ পর্যন্ত বুমরাহর ওভারে অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তিনি ৫১ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ের সাহায্যে ৬৯ রান করেন। তার আউটের সময় শেষ ১৬ বলে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫৩ রান, যা কার্যত জয়ের আশা শেষ করে দেয়।