শিরোপা জয়ের লক্ষ্য হয়তো দূরবর্তী ছিল, কিন্তু এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পৌঁছানো ছিল বাংলাদেশের প্রাথমিক লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণের পথে এখন বড় অনিশ্চয়তা।
শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটের পরাজয়, যেখানে ৩২ বল হাতে ছিল লঙ্কানদের, সুপার ফোরের স্বপ্নকে কার্যত এক ধাক্কায় অনেকটা দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল হতাশাজনক। প্রথম দুই ওভারে কোনো রান না করেই দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন বিদায় নেন। এরপর রানআউটে তাওহিদ হৃদয়ের বিদায়, এবং মেহেদী হাসানের ফিরে যাওয়ার পর ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল গভীর সংকটে পড়ে। অধিনায়ক লিটন দাস ২৮ রান করে আউট হলে ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ষষ্ঠ উইকেটে শামীম হোসেন ও জাকের আলী অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন। শামীম ৩৪ বলে ৪২ এবং জাকের ৩৪ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৩৯ রান সংগ্রহ করে। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে হাসারাঙ্গা দুটি উইকেট পান।
জবাবে শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে। কুশল মেন্ডিস দ্রুত ফিরে গেলেও পাথুম নিসাঙ্কা ও কামিল মিশারার ৯৫ রানের জুটি লঙ্কানদের জয় প্রায় নিশ্চিত করে দেয়। মিশারা ৪৪ রান করেন ৩৪ বলে। নিশাঙ্কা ৩৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
শেষ দিকে কুশল পেরেরা এবং দাসুন শানাকা ফিরে গেলেও শ্রীলঙ্কার জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। মাত্র ১৪ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে তারা সহজ জয় তুলে নেয়।
এই জয়ের পর শ্রীলঙ্কার নেট রান রেট বেড়ে দাঁড়ায় +২.৫৯৫। আফগানিস্তান +৪.৭০০ নেট রান রেট নিয়ে শীর্ষে আছে। অন্যদিকে, দুই ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের নেট রান রেট কমে হয়েছে –০.৬৫০, যা তাদের সুপার ফোরে যাওয়ার পথকে কঠিন করে তুলেছে।