ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের বহু অমীমাংসিত প্রশ্নের সমাধান হওয়া উচিত ছিল। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, “নতুন বাংলাদেশ কেমন হবে, তা এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেনি।”
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা হলে ‘নতুন বাংলাদেশ প্রশ্নে মীমাংসার সিলসিলা’ শীর্ষক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শরিফ ওসমান হাদি বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগ আজও ‘আজাদী’ হিসেবে পরিচিত হলেও, তিনি ২০২৪ সালের আন্দোলনকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখতে চান। তিনি উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা সম্পূর্ণভাবে পূরণ হয়নি। সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যেই ২০২৪ সালের আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল, কিন্তু এখন অনেকে ২০২৪ এবং ১৯৭১ সালের আন্দোলনকে পরস্পর বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করছেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪—কোনোটিই একে অপরের মুখোমুখি নয়। বরং এসব প্রশ্ন নতুন করে মীমাংসা করা প্রয়োজন। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আবারও ভারতীয় আধিপত্যবাদের কোনো শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তবে তা প্রতিরোধের কৌশল কেমন হবে, তা নিয়ে সবাইকে ভাবতে হবে।
হাদি স্মরণ করিয়ে দেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই প্রতিবাদ ও আন্দোলনের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় এখানেই প্রথম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্দোলনকারীদের কাছে পরাজিত হয়েছিল। তিনি জানান, নতুন বাংলাদেশ কেমন হবে, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ প্রজন্মের মতামত জানতে তিনি এখানে এসেছেন।
সভায় তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলহামের উপদেষ্টা মো. হারুন অর রশিদ, অর্গানাইজেশন অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের উপদেষ্টা ড. হাফিজ আশরাফুল হক এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।