জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট তাদের প্যানেলে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। ২৫টি আসনের মধ্যে ২০টিতেই জয়ী হয়েছেন তাদের প্রার্থীরা। তবে এই নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও পরাজিত হয়েছেন শিবির প্রার্থী আরিফ উল্লাহ।
পরাজয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আরিফ উল্লাহ বলেন, 'আল্লাহ তাআলা আমাকে নির্বাচিত করেননি, হয়তো আমার জন্য তিনি আরও ভালো কিছু রেখেছেন।' তিনি আরও বলেন, 'বিজয়ী আব্দুর রশিদ জিতু ভাইয়ের পাশে আমি সবসময় থাকব। আমার ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাকে সহযোগিতা করব।'
আরিফ উল্লাহ জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি ক্যাম্পাস যেখানে একসময় শিবির কর্মীদের জীবন দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, 'এই ক্যাম্পাসে অতিথি পাখি হত্যার বিচার হয়, কিন্তু শিবির কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হলেও তার বিচার হয় না।' এমন কঠিন বাস্তবতার মধ্যেও ইসলামী ছাত্রশিবির পূর্ণাঙ্গ প্যানেল উপস্থাপন করেছে এবং তাদের ২০ জন প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। এর জন্য তিনি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া প্রকাশ করেন।
নবনির্বাচিতদের অভিনন্দন জানিয়ে আরিফ উল্লাহ বলেন, 'আল্লাহ তাদের দায়িত্ব সহজ করে দিন। তারা যেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে, মতবিরোধে না জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক ও বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপ দেন।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা এমন একটি ক্যাম্পাস চাই যেখানে সবাই নিজের ধর্ম ও সংস্কৃতি স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে, কেউ কাউকে বাধা দেবে না এবং সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এ পরিবেশ নিশ্চিত করবেন।'
জাকসুকে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যতে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি এবারের নির্বাচনে কিছু ব্যবস্থাপনার ঘাটতি থাকলেও আগামীতে তা থাকবে না বলে প্রত্যাশা করেন।