বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান দাবি করেছেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বীমা পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. মঈন খান বলেন, একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্রিটিশ পত্রিকা সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এই অর্থ পাচারের তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে শুধু বাংলাদেশকেই নয়, বরং পাচারের জন্য যুক্তরাজ্যকেও দায়ী করা হয়েছে। তিনি বলেন, পাচার হওয়া এই ২৩৪ বিলিয়ন ডলারের পরিমাণ বাংলাদেশের পাঁচ বছরের মোট বাজেটের সমান।
সাধারণ জনগণের কাছে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ বোঝাতে ড. মঈন খান একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'খেটে খাওয়া মানুষেরা হয়তো ২৩৪ বিলিয়ন ডলারের অঙ্কটা বুঝতে পারবেন না। তাই সহজ করে বললে, এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে ১০০টি পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত।' তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই অর্থ দেশের দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের, কোনো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়।
ড. মঈন খান আরও বলেন, গণতন্ত্রকে তিনি একটি 'মেকানিজম' বা প্রক্রিয়া হিসেবে দেখেন, যা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যম। তাঁর মতে, গণতন্ত্রের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১৮ কোটি মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বীমা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি এম ওয়াহিদুজ্জামানসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ব্যাংক ও আর্থিক খাতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন।