প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বিভিন্ন আদালতে ২৩২টি বিচারকের পদ সৃজনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস গঠন বিধিমালা, ২০২৫ এর বিধি ৫ অনুসারে গঠিত কমিটির সভাপতি, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এ. কে. এম. আসাদুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমান। এছাড়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. লিয়াকত আলী মোল্লাও সভায় অংশ নেন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী এই সভায় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করেন।
সভা শেষে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সর্বসম্মতিক্রমে মোট ২৩২টি বিচারিক পদ সৃজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
শিশু ধর্ষণ অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল: দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি এবং মহানগর এলাকায় ৮টিসহ মোট ৭২টি জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের পদ।
পারিবারিক আপিল আদালত: ৬১টি জেলায় ৬১টি এবং মামলার সংখ্যা বিবেচনায় ঢাকা জেলার জন্য অতিরিক্ত ৪টিসহ মোট ৬৫টি জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারকের পদ।
ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল: সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত ৫৪টি ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের জন্য ৫৪টি জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারকের পদ।
ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল: সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত ৫৪টি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের মধ্যে বিদ্যমান ১৩টি বিচারকের পদ ব্যতীত অবশিষ্ট ৪১টি যুগ্ম জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারকের পদ।
২৩২টি বিচারিক পদ সৃজনের পাশাপাশি, এই পদগুলোর বিপরীতে সহায়ক জনবল ও অফিস সরঞ্জামাদি নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়েও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলো দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগে পাঠানোর জন্য আইন ও বিচার বিভাগকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।