যশোরের ঐতিহ্যবাহী ও দেশের বৃহত্তম মণিহার সিনেমা হল ৪২ বছর পর ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের এই উদ্যোগে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
১৯৮৩ সালে কাজী মোহাম্মদ হানিফের নকশায় নির্মিত হয়েছিল এই বিশাল প্রেক্ষাগৃহ। একসময় এটি ছিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। দেশ-বিদেশের বহু চলচ্চিত্রপ্রেমীকে আকর্ষণ করেছিল মণিহার। কিন্তু বর্তমানে দর্শক সংকট ও বাণিজ্যিক মন্দার কারণে প্রেক্ষাগৃহটি আর চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মালিক জিয়াউল ইসলাম মিঠু।
মালিকপক্ষ মণিহার ভেঙে একটি আধুনিক বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই কমপ্লেক্সে থাকবে একটি শপিং মল এবং আবাসিক হোটেল। প্রেক্ষাগৃহের এই রূপান্তর স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন অনেকে।
বর্তমানে মণিহারে শুধুমাত্র কলকাতার চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। দর্শক কম হওয়ায় সিঙ্গেল স্ক্রিন বন্ধ করে আপাতত কেবল 'মণিহার' সিনেপ্লেক্সটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে পুরো ভবনটিই ভেঙে ফেলা হবে।