নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের সামনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু এবং অন্তত ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান হাবিব, বয়স আনুমানিক ৩০। তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কাজিরহাট গ্রামের বাসিন্দা এবং দুলাল মিয়ার পুত্র। রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম যমুনা টেলিভিশনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তরা ইপিজেডের ভেতরে অবস্থিত এভারগ্রিন পরচুলা তৈরির কারখানার শ্রমিকরা গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। সোমবার রাতে কর্তৃপক্ষের অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের ঘোষণার পর শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা উত্তরা ইপিজেডের সামনে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং একপর্যায়ে তারা জোরপূর্বক ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে উপস্থিত সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাধা দিলে শ্রমিকরা সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা চালায়। জবাবে সেনাবাহিনী গুলি চালালে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন।
গুলির ঘটনায় আহত ছয় শ্রমিককে তাৎক্ষণিকভাবে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারহান তানভীর উল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই হাবিবুর রহমান হাবিবের মৃত্যু হয়। বাকি পাঁচজন শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে আরো বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ঘটনাস্থলে জড়ো হন।
সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ৫৬ বিজিবির সদস্যরাও ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম বদরুদ্দোজা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করছে।