রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম শোভন জানিয়েছেন যে, খুব দ্রুতই ঢাকা থেকে পাবনা পর্যন্ত সরাসরি রেল চলাচল শুরু হবে। গত শুক্রবার রাতে পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালার চরের ঘাস চরে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এই তথ্য দেন।
সমাবেশের পর সচিব শোভন খয়ের চর, ঢালার চর এবং কাজীরহাট এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক।
পরিদর্শনকালে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস-সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া, পাবনার সাবেক এমপি একেএম সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাসুদ খন্দকার-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বেশ কয়েকটি প্রস্তাবিত প্রকল্পস্থল সরেজমিনে দেখেন। এর মধ্যে ছিল পাবনা-ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু, জ্বালানি ব্যয় ও সময় কমাতে এবং বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজীরহাট ফেরীঘাট চালু ও সংশ্লিষ্ট সংযোগ সড়ক নির্মাণ, এবং ঢালার চর পদ্মা রেল সেতুর সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ঢালারচর-রাজবাড়ী রেল ব্রিজ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই।
পরিদর্শন শেষে দুই সচিব সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করে তাঁদের নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাঁরা মানুষের দাবি ও তাঁদের অভিজ্ঞতা সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলে জানাবেন। তাঁরা এই অঞ্চলে অনেক আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে পাবনা-কাজীরহাট-দৌলতদিয়া দ্বিতীয় যমুনা সেতু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এলাকার মানুষ এখনও সেই প্রতিশ্রুতি মনে রেখেছে এবং আশায় বুক বেঁধে আছে। তিনি আরও বলেন, মানুষের প্রত্যাশার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই সরেজমিন পরিদর্শনের অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি আশা করেন, এই প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।