বিশ্বে বিদ্যমান অস্থিতিশীলতা নিরসন এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব 'শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান' উপলক্ষ্যে আজ প্রদত্ত এক বাণীতে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে উল্লেখ করেন যে, মহামতি গৌতম বুদ্ধ তাঁর জীবনকালে মানুষের কল্যাণ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ গঠন করাই ছিল তাঁর মৌলিক লক্ষ্য। তাঁর আদর্শ মানবিকতা ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল। তাঁর অহিংস বাণী এবং জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য মিশে আছে। প্রাচীনকালে এই অঞ্চলটি এশিয়ার বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল, যার প্রমাণস্বরূপ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের অস্তিত্ব দেখা যায়।
তিনি বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন যে, আবহমানকাল ধরে এখানে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সকল অর্জন ও প্রাপ্তিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অবদান রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা আরও দৃঢ় ও অটুট হবে। তিনি আশা করেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ানুগ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের যাত্রা মসৃণ ও সাফল্যমন্ডিত হবে।
সবশেষে, প্রধান উপদেষ্টা 'শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান' উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।