বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে সম্মাননা পেলেন বলিউড তারকা শাহরুখ খান। তিন দশকেরও বেশি সময়ের বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনের পর এই প্রথম ভারতের সর্বোচ্চ এই রাষ্ট্রীয় সম্মাননাটি তার ঝুলিতে এলো। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৭৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নিজ হাতে তার হাতে সেরা অভিনেতার পুরস্কার তুলে দেন।
গত ১ আগস্ট পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা ঘোষণার পর থেকেই এ খবরটি ছিলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শাহরুখ খান তার ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ‘জাওয়ান’-এর জন্য এই পুরস্কারটি পেয়েছেন। একই বিভাগে ‘টুয়েলভথ ফেল’ ছবির জন্য যৌথভাবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি।
অন্যদিকে, ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন রানী মুখার্জি। একই মঞ্চে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির দুই তারকাকে একসঙ্গে দেখে দর্শক ও ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, শাহরুখ খানের এই পুরস্কার জয় তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের এক নতুন মাইলফলক। ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ চলচ্চিত্র দিয়ে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ পথচলায় তিনি বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—কখনও হয়েছেন ‘রাজ’, কখনও ‘রাহুল’, আবার কখনও ‘মোহন’। তার সব ছবিই বক্স অফিসে সফল হয়নি, এমনকি এক সময় তিনি নিজেও হতাশ হয়ে দীর্ঘ বিরতি নিয়েছিলেন।
সেই বিরতির পর তিনি নিজেকে নতুন করে তৈরি করে অ্যাকশন ঘরানার ছবিতে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেন। ‘পাঠান’, ‘জাওয়ান’, এবং ‘ডাঙ্কি’-এর মতো সুপারহিট ছবির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন কেন তাকে এখনো বলিউডের ‘বাদশা’ বলা হয়। আর এই ‘জাওয়ান’ চলচ্চিত্রই তাকে এনে দিয়েছে বহু প্রতীক্ষিত জাতীয় পুরস্কার।