দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের ২২ বস্তা নথিপত্র উদ্ধার করেছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি দেশের একটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এদিকে, ঘুষ গ্রহণ, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী ইউসিবি পিএলসি’র সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম এ খবর নিশ্চিত করেন।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইউসিবি পিএলসি’র সাবেক পরিচালক সৈয়দ কামরুজ্জামান, আরামিট পিএলসি’র এজিএম উৎপল পাল, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের মালিক ও আরামিট পিএলসি’র এজিএম আব্দুল আজিজ, ক্ল্যাসিক ট্রেডিংয়ের মালিক ও আরামিট পিএলসি’র এজিএম মো. জাহাঙ্গীর আলম, মডেল ট্রেডিংয়ের মালিক ও আরামিট পিএলসি’র এও মো. মিসবাহুল আলম, রেডিয়াস ট্রেডিংয়ের মালিক মো. ফারিদ উদ্দিন, লুসেন্ট ট্রেডিংয়ের মালিক মো. জাহিদ, নূর মোহাম্মদ এবং মো. ইয়াসিনুর রহমান।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, আসামিরা একে অপরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ইউসিবিএলের প্রধান কার্যালয়ের গ্রাহক আব্দুল কাদির মোল্লাকে ভয় দেখিয়ে ৫২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে এই অর্থ বিদেশে পাচার ও হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, সাইফুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী। তিনি দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি মূলত তার বাবার রাজনৈতিক পরিচয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন। তার বাবা চট্টগ্রামের আনোয়ারা আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর ওই আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একইসাথে বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান আরামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া, তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির তিনবারের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন।