রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (RNPP) জ্বালানি দেশে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
উপদেষ্টা জানান, কেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে ডিসেম্বরে চালু হবে। যদিও এর আগে নভেম্বরে এটি চালুর জন্য রাশিয়াকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর একটি দল কেন্দ্রটি পর্যবেক্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছে, যা বর্তমানে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পর আইএইএ চূড়ান্ত সম্মতি প্রদান করবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
পাবনার পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এই দুই-ইউনিটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়া কর্তৃক নির্মিত ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করবে। ইউনিট ১-এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে এবং ইউনিট ২ এর কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে।
রূপপুর প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রাশিয়া প্রকল্প ব্যয়ের ৯০ শতাংশ বা ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ হিসাবে সরবরাহ করছে। বাকি ১০ শতাংশ অর্থ বহন করছে বাংলাদেশ সরকার।
এদিকে, বাংলাদেশ রাশিয়ার ঋণের অর্থ ছাড়ের সময়সীমা ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পাদিত মূল আন্তঃসরকারি চুক্তিতে ঋণ বিতরণের সময়কাল ছিল ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের (ডিসেম্বর) মধ্যে।
প্রাথমিকভাবে ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ড শেষে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ঋণের মূল পরিশোধ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে এটি পরিবর্তন করে ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে, ঋণের পরিশোধ শুরু হবে ২০২৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে।