দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০.৩১ বিলিয়ন ডলারে। তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে, এই পরিমাণ আরও কম—২৫.৪০ বিলিয়ন ডলার।
সাম্প্রতিক এই পতনের পেছনে প্রধান কারণ হলো এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)-এর জুলাই ও আগস্ট মাসের আমদানি বিল পরিশোধ। এর ফলে প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ কমেছে দেশের রিজার্ভ থেকে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫), গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১.৪৩ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ অনুসারে ২৬.৪৫ বিলিয়ন ডলার।
এর আগেও জুলাই মাসে আকু-কে ২.০২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ২৯.৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। তখন বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৪.৫৬ বিলিয়ন ডলার।
তবে, রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা এবং রপ্তানি আয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে জুন শেষে গ্রস রিজার্ভ ৩১.৭২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল, যা গত ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সে সময় বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৬.৬৯ বিলিয়ন ডলার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর হুন্ডি নিয়ন্ত্রণে এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোয় পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়। এর ফলস্বরূপ, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে প্রায় ২৭% প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা ডলারে ৩০.৩৩ বিলিয়ন।