সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ পরিদর্শনে এসে নিজেই দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়েন। আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে তিনি পরিদর্শনে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
যানজটের কারণে বাধ্য হয়ে তাঁকে বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত যেতে মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে হয়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল কাউন্সিল পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তিনি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বর্তমান বেহাল দশার কথা তুলে ধরেন।
পোস্টে সারজিস আলম উল্লেখ করেন, 'এই মুহূর্তে রাজধানী ঢাকা থেকে সাতটি বিভাগীয় শহরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের।' তিনি জানান, সম্প্রতি সিলেট বিভাগে সাংগঠনিক সফরের সময় রাস্তার অবস্থা দেখে তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপদেষ্টা জনাব ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
সারজিস আলম তার পোস্টে আরও লেখেন, 'তিনি (উপদেষ্টা) জানান যে আগামী এক মাসের মধ্যেই তারা এই কাজ আবার নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছেন এবং তিনি নিজেই এই মহাসড়ক পরিদর্শন করবেন।'
আজ উপদেষ্টার পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে সারজিস আলম আশা প্রকাশ করেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই মহাসড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে এবং লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।
সারজিস আলমের পোস্টে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির চিত্র উঠে এসেছে মন্তব্যের মাধ্যমে। মহাসড়কের দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে একজন মন্তব্যকারী লেখেন, 'সিলেট থেকে প্রাইভেট কারে ঢাকায় গেলে ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রেমিট্যান্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম সিলেট, অথচ এই বিভাগে চার লেনের কাজ পাঁচ থেকে ছয়বার টেন্ডার হয়ে বাতিল হয়ে গেছে।'
অপর এক মন্তব্যকারী তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে লেখেন, 'সিলেট থেকে ময়মনসিংহ যেতে সাধারণত ৬ বা সাড়ে ৬ ঘণ্টা লাগে, কিন্তু কিছু দিন আগে এই জ্যামের কারণে প্রায় ১৩ ঘণ্টা লেগেছিল। প্রতিনিয়ত এই হয়রানির শিকার হতে হয় সবাইকে।'
এদিকে, উপদেষ্টাকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে। একজন মন্তব্যকারী এই প্রসঙ্গে লেখেন, 'চালকের হেলমেট কোথায়? আইন কি বড় মানুষের জন্য একটু কাট করে যায় নাকি?'