বাংলাদেশের কৃষিতে শুরু হয়েছে প্রযুক্তির নতুন যুগ। এক সময় যেখানে কৃষকরা শুধু প্রাচীন অভ্যাস ও হাতের যন্ত্রপাতির উপর নির্ভর করতেন, এখন সেখানে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি, স্মার্ট ডিভাইস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এর ফলে কৃষি উৎপাদন হচ্ছে আরও বৈজ্ঞানিক, সময়োপযোগী ও লাভজনক।
ড্রোন ও স্যাটেলাইটের ব্যবহার:
সম্প্রতি বিভিন্ন অঞ্চলে জমি পরিদর্শন ও কীটনাশক ছিটানোর কাজে ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে যেমন সময় ও খরচ কমছে, তেমনি কৃষকরা পাচ্ছেন সঠিক তথ্য। স্যাটেলাইটভিত্তিক আবহাওয়া পূর্বাভাস কৃষকদের আগাম সতর্ক করছে বন্যা বা খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়।
স্মার্টফোন অ্যাপ ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম:
কৃষকদের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ স্মার্টফোন অ্যাপ, যেখানে দেওয়া হচ্ছে বীজ, সার ও কীটনাশকের সঠিক পরামর্শ। পাশাপাশি অনলাইনে বাজারজাতকরণের সুযোগও পাচ্ছেন কৃষকরা। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমে যাচ্ছে এবং কৃষকেরা পাচ্ছেন ন্যায্য দাম।
কৃষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা:
এআই-ভিত্তিক সফটওয়্যার জমির উর্বরতা বিশ্লেষণ করে কোন ফসল কতটা ফলন দেবে তার পূর্বাভাস দিচ্ছে। এতে কৃষকেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন কোন মৌসুমে কোন ফসল চাষ করা বেশি লাভজনক হবে।
সরকারের উদ্যোগ:
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৃষিকে আধুনিকায়নে ইতোমধ্যেই হাজারো কৃষককে প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি কৃষককে এ ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কৃষকের কণ্ঠে পরিবর্তনের ধ্বনি:
রাজশাহীর এক কৃষক বলেন, “আগে আন্দাজ করে সার দিতাম, অনেক সময় ফসল নষ্ট হয়ে যেত। এখন মোবাইল অ্যাপেই বলে দিচ্ছে কতটা সার দিতে হবে। এতে খরচও বাঁচছে, ফলনও বাড়ছে।”