প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি বা তাদের নিবন্ধনও স্থগিত করা হয়নি। দলের কার্যক্রম শুধুমাত্র সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে জিটিওর কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক মেহদি হাসানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস ব্যাখ্যা করেন, কার্যক্রম স্থগিত থাকায় আওয়ামী লীগ বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না। তবে দল হিসেবে তারা বৈধ রয়েছে, এবং এই কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনা করছে, সুতরাং কোন দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে সেই সিদ্ধান্ত তারাই দেবে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থক থাকলেও তাদের ‘লাখ লাখ সমর্থক আছে’—এই দাবি তিনি মানেন না। তাদের সমর্থকেরা সাধারণ ভোটারের মতোই ভোট দিতে পারবেন, তবে সেখানে আওয়ামী লীগের প্রতীক থাকবে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের রাজনৈতিক দল দাবি করলেও বাস্তবে তারা রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, তারা মানুষ হত্যা করেছে, নিজেদের কর্মকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি এবং সব সময় দায় অন্যের ওপর চাপিয়েছে।