📅 ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | 🕒 প্রকাশকাল: ১ মাস আগে | অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারণার শেষ দিনে পূর্বঘোষিত ইশতেহারের আদলে শপথ পাঠ করেছে ছাত্রদল মনোনীত আবিদ-হামিম-মায়েদ প্যানেল।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে সব হল সংসদ ও কেন্দ্রীয় সংসদের প্রার্থীরা শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্যানেলের কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা জাতীয় সঙ্গীত পাঠের মাধ্যমে শপথ পাঠের উদ্বোধন করেন।
শপথ পাঠে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা বুকে হাত রেখে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- গণরুম ও গেস্টরুম প্রথার অবসান: শিক্ষার্থীরা যেন একটি নিরাপদ ও আনন্দময় ক্যাম্পাসে বসবাস করতে পারে, সে লক্ষ্যে বিগত সময়ের গণরুম প্রথা, গেস্টরুম নির্যাতন এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য চাপ প্রয়োগের মতো অপসংস্কৃতি বন্ধ করার অঙ্গীকার করা হয়।
- ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: শপথের সময় প্রার্থীরা ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মতো ঐতিহাসিক ঘটনাবলির কথা উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যতে যদি দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে, তবে তারা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
- নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা: নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি এবং সম-অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
- আবাসিক ও অন্যান্য সুবিধা: হলগুলোতে প্রশাসনের মাধ্যমে বৈধ সিটের ব্যবস্থা, সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা এবং উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করা হয়।
- সাইবার নিরাপত্তা: শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সাইবার বুলিং, মিসইনফরমেশন ও ফেক নিউজের মতো অপতৎপরতা রুখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন প্রার্থীরা।
- শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন: একটি আধুনিক ও মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষা, গবেষণা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসারে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
- গণতান্ত্রিক পরিবেশ: নির্বাচিত হলে ডাকসুর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশে শিষ্টাচার ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক মনোভাব প্রদর্শনের অঙ্গীকার করা হয়।
শপথ গ্রহণের পর প্যানেলের প্রার্থীরা বলেন, তারা এই শপথের প্রতিটি শব্দ হৃদয়ে ধারণ করেন এবং নির্বাচিত হলে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিটি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবেন।