২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ইতিহাসের এই জঘন্য হামলায় দলের শীর্ষ নেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও, নিহত হন কেন্দ্রীয় নেতা বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন। এ ঘটনায় আহত হন প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী।
সমাবেশ শেষে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা মঞ্চ থেকে নামার প্রস্তুতি নিতেই হঠাৎ পরপর গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তেই চারপাশ লাশের স্তূপ ও আহতদের আর্তনাদে ভরে যায়। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলেও দলের নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে তাঁকে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যান। তবে বিস্ফোরণের অভিঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনার চৌদ্দ বছর পর,
এ মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাবেক ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৪৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছিল।গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের আগে অন্য একটি মামলায় মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়। এর আগে গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১১ সালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য পরে তা আদালতে প্রত্যাহার করেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, জবানবন্দি প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন হাইকোর্ট।