আগামী ২ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়কে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক (এসইউপি) মুক্ত করার লক্ষ্যে একটি নতুন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সচিবালয়ের প্রবেশপথগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য প্রবেশে বাধা দিতে চেকিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। দর্শনার্থীদের কাছে পাঠানো ওটিপি (OTP) বার্তাতেও এই বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সচিবালয়ের নিরাপত্তাকর্মী এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক ও তার বিকল্প ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়াও, সচিবালয়ের ভবন, প্রবেশদ্বার ও লিফটের সামনে প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশের বার্তা সম্বলিত ব্যানার ও স্টিকার লাগানো হবে।
একই দিনে সচিবালয়ের ভেতরের দোকান ও ক্যান্টিনগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল, কাপ, প্লেট ও চামচের ব্যবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে পাট ও কাপড়ের তৈরি ব্যাগসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন ফোকাল পার্সন নিয়োগ করা হবে এবং একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিগুলো নিয়মিতভাবে কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে। শুধুমাত্র সচিবালয় নয়, বাইরে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোও এই নির্দেশনা মেনে চলবে এবং মাসিক সমন্বয় সভার এজেন্ডায় এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখা-১ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মনিটরিং কমিটি বাস্তবায়ন অগ্রগতি যাচাই করার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পচে না এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত করার এই উদ্যোগ সরকারের একটি দৃঢ় ও টেকসই পদক্ষেপ। এই পাইলট কর্মসূচি সফল হলে তা সারা দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে।